সংবেদী খেলা শিশুদের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের চারপাশের জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য শিশুরা তাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের উপর নির্ভর করে। সংবেদী খেলার মাধ্যমে তারা নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং তাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে ব্যবহার করতে শেখে।
সংবেদী খেলার উপকারিতা:
- ইন্দ্রিয়ের বিকাশ: সংবেদী খেলা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের (স্পর্শ, দৃষ্টি, শ্রবণ, ঘ্রাণ ও স্বাদ) সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
- জ্ঞানীয় দক্ষতা বৃদ্ধি: এটি শিশুদের সমস্যা সমাধান এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার দক্ষতা বাড়ায়।
- সামাজিক এবং আবেগিক বিকাশ: সংবেদী খেলা শিশুদের অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তাদের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে।
- শারীরিক দক্ষতা বৃদ্ধি: কিছু সংবেদী খেলা, যেমন প্লেডোর ব্যবহার, শিশুদের ছোট মাংসপেশীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সহায়ক।
সংবেদী খেলার জন্য কিছু খেলনা:
১. প্লেডো (Playdough): প্লেডো একটি চমৎকার সংবেদী খেলনা। এটি নরম এবং বিভিন্ন আকারে পরিবর্তন করা যায়, যা শিশুদের স্পর্শ অনুভূতিকে উন্নত করে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
২. স্যান্ড সেট (Sand Set): বালি দিয়ে খেলা শিশুদের স্পর্শ অনুভূতি এবং মোটর দক্ষতা বিকাশে সাহায্য করে। তারা বিভিন্ন আকারের জিনিস তৈরি করতে এবং বালির টেক্সচার অনুভব করতে পারে।
৩. টেক্সচার্ড বল (Textured Balls): বিভিন্ন টেক্সচারের বল, যেমন মসৃণ, খসখসে বা কাঁটাযুক্ত, শিশুদের স্পর্শ অনুভূতিকে উন্নত করে।
৪. মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট (Musical Instruments): বাদ্যযন্ত্র, যেমন ড্রাম, কাস্টানেট বা জাইলোফোন, শিশুদের শ্রবণ অনুভূতি এবং ছন্দ জ্ঞান উন্নত করে।
৫. সেন্টড মার্কার (Scented Markers): সুগন্ধী মার্কার ব্যবহার করে ছবি আঁকা বা রঙ করা শিশুদের ঘ্রাণ অনুভূতিকে উদ্দীপিত করে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
৬. টেস্টিং গেমস (Tasting Games): বিভিন্ন ধরনের খাবার, যেমন ফল বা সবজি, চেখে দেখার মাধ্যমে শিশুরা স্বাদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে।
সংবেদী খেলার মাধ্যমে শিশুরা তাদের চারপাশের জগৎকে আরও ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারে।